Sunday, February 13, 2022

“জ্ঞানই পুণ্য, পুণ্যই জ্ঞান”- উক্তিটির আলোকে সক্রেটিসের জ্ঞানতত্ত্ব ও নীতিতত্ত্ব আলোচনা কর। অথবা, 'Knowledge is virtue, virtueis knowledge'-উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

জ্ঞানই পুণ্য, পুণ্যই জ্ঞান

জ্ঞানই পুণ্য, পুণ্যই জ্ঞান : সক্রেটিসের দর্শনের মূলকথা হলো 'Knowledge is virtue or virtue is Anowledge' অর্থাৎ, জ্ঞানই পুণ্য বা পুণ্যই জ্ঞান। নিম্নে 'জ্ঞানই পুণ্য, পুণ্যই জ্ঞান' এ উক্তিটির আলোকে সক্রেটিসের নীতিতত্ত্ব সম্পর্কে আলোচনা তুলে ধরা হলো:
✓১. প্রকৃত জ্ঞান : সক্রেটিসের মতে, জ্ঞান দু'ধরনের হতে পারে। যথা: সার্বিক জ্ঞান ও যথার্থ জ্ঞান। তিনি বলেন, সার্বিক জ্ঞানই সর্বোৎকৃষ বা প্রকৃত জ্ঞান। তাঁর মতে, "Knowledge is the universal not of particular." সমস্ত সত্য জ্ঞান সার্বিক ধারণার মাধ্যমে অর্পণ করা যায়। 
✓২. নৈতিক জ্ঞান : সক্রেটিসের মতে, মানুষের নৈতিক জ্ঞান হচ্ছে জীবনের অমূল্য সম্পদ। জ্যোতির্বিদ্যা এবং গণিতশাস্ত্রের জ্ঞানকে তিনি খুব বেশি মূল্যবান বলে মনে করেন না।  জ্ঞান প্রজ্ঞার উপর নির্ভরশীল। প্রজ্ঞার মারফতই আমরা বস্তুগত সত্যতা নির্ধারণ করতে পারি। 
✓৩, জ্ঞানের জন্য আত্মসমীক্ষা প্রয়োজন : সক্রেটিস দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, নির্বিচার বিশ্বাস ও কুসংস্কারের হাত প্রাণী বা জাতির সকলের মধ্যে যে সাধারণ ও আবশ্যক জ্ঞান থাকে তাকে বলে সার্বিক জ্ঞান। সার্বিক জ্ঞানই বস্তুর যথার্থ থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র পথ হলো জ্ঞান। জ্ঞানের অপূর্ণতা ও অকিঞ্চিৎকরতা সম্পর্কে সচেতন হওয়ার মাধ্যমেই মানুষের পক্ষে জ্ঞানের নামে প্রচলিত যে কোনো অসার লৌকিক ধারণার প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব। 
✓৪. প্রজ্ঞা সার্বিক ধারণার ধীশক্তি : সক্রেটিস বলেন যে, প্রজ্ঞা সার্বিক ধারণার ধীশক্তি (Faculty)। প্রজ্ঞা দু'ভাবে হতে পারে। প্রথমত আবরোহ এবং দ্বিতীয়ত আরোহ। বিশেষ বস্তু বা ঘটনাকে পর্যবেক্ষণ করে যে সাধারণ সত্য বা নিয়ম প্রতিষ্ঠা করা হয় তাকে সামান্যকরণ বলে এবং সামান্যিকরন কেবলমাত্র আরোহ পদ্ধতি দ্বারা সম্ভব।
✓৫. জ্ঞানই সদৃদ্গুণ : সক্রেটিস জ্ঞান এবং সদ্‌গুণকে চিহ্নিত করতে গিয়ে বলেছেন যে, যাবতীয় অন্যায় ও খারাপ কাজ জ্ঞানের অনুপস্থিতিতে ঘটে থাকে। জ্ঞানের পরিবর্তে অজ্ঞতাই এখানে কাজ করে। জেনেশুনে কেউ অন্যায় করতে পরে না। তাঁর মতে, জ্ঞানের অভাব থেকেই যাবতীয় অনৈতিক আচরণের উদ্ভব ঘটে। সদগুণ এবং জ্ঞান পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।
✓৬. স্বাধীন ও নিরপেক্ষ চিন্তার দ্বারা জ্ঞানার্জন : সক্রেটিসের মতে, যথার্থ শিক্ষাগ্রহণের জন্য মনকে সর্বপ্রকার কালিমা ও অপ্রামাণিক বিশ্বাস থেকে মুক্ত করা দরকার। আর এর জন্য পুনর্গঠন প্রক্রিয়া প্রয়োজন। তাই স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে এর ভিত্তি ও যৌক্তিকতা পরীক্ষা করে দেখা প্রত্যেক মানুষেরই কর্তব্য। অর্থাৎ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ চিন্তা সঠিক জ্ঞানের জন্য অপরিহার্য সত্য।
✓৭. প্রজ্ঞাই মানুষের ধর্ম : সক্রেটিস প্রজ্ঞা বা বোধিকে (Understanding) জ্ঞানের প্রধান উপায় বলেছেন। তাঁর জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা অভিন্ন ও একা। প্রজ্ঞাই মানুষের ধর্ম, মনুষ্যত্বের বিশেষ লক্ষণ। প্রজ্ঞার কল্যাণেই মানুষ ইতর প্রাণীর চেয়ে স্বতন্ত্র ও উচ্চতর। তাই প্রজ্ঞার মাধ্যমে জ্ঞানের প্রামাণ্য ও যথার্থতা যাচাই করতে হবে।
✓৮. জ্ঞান থেকেই পুণ্যের উৎপত্তি : সক্রেটিসের মতে, পুণ্যের উৎস হলো পাণ্ডিত্য বা জ্ঞান। আমরা সাধারণত মেজাজ, বিজ্ঞতা,পরিণামদর্শিতা, সদিচ্ছা, দয়া প্রভৃতি পুণ্যের কথা উল্লেখ করি। কিন্তু সক্রেটিস বলেন যে, এক জ্ঞান থেকেই এসব বিশেষ বিশেষ গুণোর উৎপত্তি। জ্ঞান বা পাণ্ডিত্যের ভিতরই অন্য সব পুণ্য লুকিয়ে আছে। 
✓৯. আত্মজ্ঞান অর্জন : সক্রেটিসের বিখ্যাত উক্তি হচ্ছে "Know the self" বা নিজেকে জান। তাঁর মতে, মানুষের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য হলো আত্মজ্ঞান অর্জন করা অর্থাৎ নিজেকে জানা। আত্মজ্ঞানের মহান ব্রত নিয়েই সক্রেটিস তার উৎসর্গ করেন।
✓১০. জ্ঞানই নৈতিকতার ভিত্তি : জ্ঞানতাত্ত্বিক সমস্যার ন্যায় নৈতিকতাতেই সক্রেটিসের ছিল সমধিক আগ্রহ। এরিস্টটল সুস্পষ্টভাবেই বলে গেছেন যে, সক্রেটিস নৈতিক বিষয়েই নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন। তিনি নৈতিকতাকে বিচ্ছিন্নভাবে না দেখে জ্ঞানের সাথে একে পারস্পরিক সম্পর্কে আবদ্ধ করেন।
{সমালোচনা : 'জ্ঞানই পুণ্য’ পুণ্যই জ্ঞান- এ উক্তির আলোকে সক্রেটিসের জ্ঞানতাত্ত্বিক মতবাদের গুরুত্ব থাকলেও সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। 
এর সমালোচনাসমূহ নিম্নরূপ : 
প্রথমত, সক্রেটিসের মতে, সবকাজই প্রজ্ঞার দ্বারা পরিচালিত। এর সমালোচনায় এরিস্টটল বলেন যে, সক্রেটিস মানবাত্মার জবাবেগ, অনুভূতি এবং সংবেদন টাকে একেবারে অবহেলা করেছেন কিংবা আদৌ এ দিকটা আলোচনা করতে ভুলে যান।
দ্বিতীয়ত, প্রজ্ঞা যদি মানুষের পথপ্রদর্শক হয়ে থাকে, তাহলে ন্যায় ও শুভর ধারণা থাকা সত্ত্বেও মানুষ কি করে? এ ব্যাপারটি সক্রেটিস ব্যাখ্যা করে দেখাতে পারেন নি।}
দার্শনিক চিন্তার ক্ষেত্রে সক্রেটিস ছিলেন একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন প্রজ্ঞার সন্ধানে নিয়োজিত এমন একজন আদর্শবাদী দার্শনিক, যার মতবাদ এবং আদর্শ পাশ্চাত্য সভ্যতাকে দুই হাজার বছর ধরে প্রভাবিত করেছে।

Wednesday, February 9, 2022

মনোবিজ্ঞান বলতে কী বুঝ? অথবা, মনোবিজ্ঞান কী? Monobiggan Bolte ki bujho ? What is psychology?

ফিলোসফির দিক থেকে  মনোবিজ্ঞান
View from philosophy
মনোবিজ্ঞান হলো আচরণ ও মানসিক প্রক্রিয়ার বিজ্ঞান। মনোবিজ্ঞানের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Psychology। আর এ শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায় খ্রিস্টিয় দশম শতাব্দীর সাহিত্য ও দর্শনশাস্ত্রে।Psychology দুটি গ্রিক শব্দ 'Psyche' এবং 'Logos থেকে এসেছে, যার অর্থ যথাক্রমে আত্মা বা মন এবং বিজ্ঞান। সুতরাং শাব্দিক অর্থে মনোবিজ্ঞান হলো আত্মা বা মন সম্পর্কীয় বিজ্ঞান। প্লেটো, এরিস্টটল প্রমুখ দার্শনিকদের মতে, আত্মার অনুশীলনকারী বিজ্ঞানই হলো মনোবিজ্ঞান। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্ব প্রথম গ্রিক দার্শনিকরা মনোবিজ্ঞানকে আত্মসম্বন্ধীয় বিজ্ঞানরূপে বর্ণনা করেছেন।

প্রামাণ্য সংজ্ঞা: মনোবিজ্ঞানিগণ বিভিন্নভাবে মনোবিজ্ঞানের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। নিম্নে মনোবিজ্ঞানের গ্রহণযোগ্য কয়েকটি সংজ্ঞা উল্লেখ করা হলো। 

মর্গান, কিং, ওয়াইজ এবং স্কোপলার (Cliford T. Morgan & Richard A. King, John R. Weise and John Schopler) এর মতে, “মনোবিজ্ঞান হলো মানুষ ও প্রাণীর আচরণ সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান এবং এটি মানুষের সমস্যায় এ বিজ্ঞানের প্রয়োগকে অন্তর্ভুক্ত করে।" (Psychology is the science of human and animal behaviourit includes the application of this science to human problems.)

ক্রাইডার, গোথাল্‌স, কেভানহ ও সলোমন (A. B. Crider. G. R. Goethals, R. D. Kavanaugh and P. R. Solomon) এর মতে, "মনোবিজ্ঞানকে আচরণ ও মানসিক প্রক্রিয়ার বিজ্ঞানসম্মত অনুধ্যান হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে ।" (Psychology can be defined as the scientific study of behaviour and mental processes.)
রডিঞ্জার, রাস্টন, কেপালডি এবং প্যারিস (H. I. Roedig J. P. Rushton. E. D. Capaldi and S. G.Paris) "মনোবিজ্ঞানকে আচরণ এবং মানস জীবনের সুব্যবস্থিত অনুধ্যান হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে।" (Psychology may be defined as the systematic study of behaviour and mental life) -
জন. এল. ভোগেল (John L. Vogel) আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন (APA. ১৯৭৯, পৃষ্ঠা-) সংজ্ঞা বিশ্লেষণ করে বলেছেন, “মনোবিজ্ঞান হলো আচরণ ও অভিজ্ঞতার বিজ্ঞানসম্মত অনুধ্যান এবং মানুষের সমস্যায় সে জ্ঞানের প্রয়োগ।" (Psychology is the scientific study of behaviour and experience and the application of that knowledge to human problems.)
ওয়াইনী ওয়াইটেন (Wayne Weiten) মতে, “মনোবিজ্ঞান হলো সে বিজ্ঞান যা আচরণ এবং অন্তরালে নিহিত শারীরবৃত্তীয় ও জ্ঞানগত প্রক্রিয়াসমূহ অনুধ্যান করে এবং এটি হলো পেশা বা বাস্তব সমস্যায় ও বিজ্ঞানের সজ্জিত জ্ঞানকে প্রয়োগ করে।" (Psychology is the science that studies behaviour and the physiological and cognitive processes that underline it and the profession that applies the accumulated knowledge of this science to practical problems.)
উইলিয়াম বাসৃস্টি এবং ডেভিড ডব্লিউ আরনিং (William Burkist and David W. Gerbing) এর মতে,
“মনোবিজ্ঞান হলো জীবের আচরণ এবং স্থানীয় প্রক্রিয়ার বিজ্ঞানসম্মত অনুধ্যান)" (Psychology is the acientific study of the behaviour and cognitive processes of individual organisms.)
রেক্স নাইট ও মার্গারেট নাইট তাঁদের 'Modem Introduction to Psychology' গ্রন্থে মনোবিজ্ঞানের যে সংজ্ঞাটি নিয়েছেন সেটি আধুনিক মনোবিজ্ঞানীর কাছে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে- “মনোবিজ্ঞান হলো অনুভব ও আচরণের সুসংবদ্ধ আলোচনা।" 


Saturday, May 30, 2020

দর্শন সম্পর্কে দার্শনিকদের মতামত dorshon somporke darshonikder motamot

দর্শনের জনক সক্রেটিস বলেন - "সত্যের অনুসন্ধান বা জিজ্ঞাসার উত্তরে নিজেকে ব্যাপৃত রাখাকে দর্শন বলে ।"
পীথাগোরাস বলেছেন -" দর্শনের অর্থ শুধু জ্ঞানের প্রতি আশক্তিই নয়, বরং জীবনের বিভিন্ন বিষয়ে মূল্য নিরূপণে সুনির্দষ্ট যুক্তি।"
এরিষ্টটল বলেন - "সত্তা স্বরূপতঃযা এবং এই স্বরূপের অঙ্গীভূত যেসব বৈইশিষ্ট্য তার অনুসন্ধান করে যে বিজ্ঞান তা-ই দর্শন ।"
ইমা্নুয়েল কান্ট বলেন- " দর্শন হল জ্ঞান সম্পর্কীয় বিজ্ঞান ও তার সমালোচনা ।"
অগাস্টিন কোঁতে (Comte) বলেন- "দর্শন হল বিজ্ঞানের বিজ্ঞান-ইহা সকল বিজ্ঞানের সিদ্ধান্তগুলো সমন্ময়ের প্রচেস্টা ।"
মারভিন বলেন -"দর্শন হল সত্যের প্রতি অনুরাগ, সরব -সত্য যার অন্তর্ভুক্ত এম্ন জ্ঞানের পূর্ণ ভান্ডার, যাতে সব সত্য এক মহান অখন্ডতার মধ্যে সুবিন্যস্ত ।"
ফ্রেডরিক এমিরেল বলেন -"দর্শনের অর্থ হল মনের সম্পূর্ণ মুক্তি এবং কাজেই সকল সামাজিক, রাজনৈতিক অথবা ধর্মিয় টান বা কুসংস্কার হতে মুক্তি... ইহা সমালোচনামূলক ও পক্ষপাত মুক্ত ।"
প্লেটো বলেন -"দর্শন নিজের এবং বস্তুর প্রয়োজনীয় প্রকৃতি সম্পর্কে জ্ঞান আহরণে নিবেদিত" 

Friday, September 6, 2019

যুক্তিবিদ্যা কি ? যুক্তিবিদ্যা কাকে বলে ? juktibidda kake bole juktibidda ki

যুক্তিবিদ্যার ইংরেজী প্রতিশব্দ Logic এসেছে গ্রীক শব্দ “Logos” থেকে । যার অর্থ চিন্তা বা শব্দ।সুতরাং বুৎপত্তিগতভাবে যুজতিবিদ্যা হলো চিন্তার বিজ্ঞান । কিন্তু যুক্তিবিদ্যা শব্দটা অনুসরণ করলে একে বরং ‘যুক্তির বিজ্ঞানই’ বলা উচিত এবং সচারচর তাই হয়ে থাকে । প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ নিম্নে প্রচলিত সংজ্ঞার আলোকে যুক্তিবিদ্যার এক গ্রহনযোগ্য সংজ্ঞা দেওয়া হলো । এলড্রিসের মতে, “যুক্তিবিদ্যা হলো যুক্তি বা ন্যায় পদ্ধ্যতিরফলিত কলা” হোয়েটলীর মতে, “যুক্তিবিদ্যা ন্যায় পদ্ধ্যতির কলা ও বিজ্ঞান” জেভনস যুক্তিবিদ্যাকে যুক্তি পদ্ধ্যতির বিজ্ঞান বলে আখ্যায়িত করেছেন ।

Tuesday, March 19, 2019

জালাল উদ্দিন রুমির উক্তি। ২য় অংশ ।। Jalal uddin rumir ukti/okti. ।। Jalal ad-din Rumi's words PART 2 ।।

1.যখন তুমি চিন্তিত  উদ্বিগ্ন থাকবেতখন ধৈর্য্য ধরবে  ধৈর্য্যের চাবি সুখের দরজা খুলে দেয় 
2. আমাদের মধ্যে এক অদৃশ্য শক্তি লুকিয়ে আছে  এটা যখন দুটো বিপরীতমুখী বাসনার উপলব্ধি প্রকাশ করে তখন তা শক্তিশালী হতে থাকে 
3.শোক করো না  তুমি যাই হারাও না কেন তা অন্য কোনো রূপে ফিরে আসবে 
4.প্রত্যেক ব্যক্তিকে একটা নিদির্ষ্ট কাজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং সেই কাজটি তার হৃদয়ে গ্রন্থিত আছে এবং প্রতিটি মানুষ ভেতর থেকে ঠিক সেই কাজটি করার জন্যই তাড়না অনুভব করে 
5.কেউ যখন কম্বলকে পেটাতে থাকে তখন সেটা কম্বলের বিরুদ্ধে নয়ধুলোর বিরুদ্ধে 
6.আমাদের চারদিকে সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে সাধারণত একে বুঝতে একটি বাগানে হাঁটার প্রয়োজন অনুভব করি আমরা 
7.যখন নিজের মূল্য নির্ধারণের দিনটি আসবে তখন আপনার পরিচয় ফুটিয়ে তোলাটাই বিজ্ঞানের নির্যাস 
8.শোক প্রকাশ হতে পারে সমবেদনার বাগান যদি সবকিছুতে নিজের হৃদয়টাকে উদার রাখতে পারেনবেদনা আপনার শ্রেষ্ঠ বন্ধু হতে পারে 
9.যত বেশি নীরব হবেতত বেশি শুনতে পাবে!!!
10.কন্ঠকে নয়শব্দকে ধরে তোলো  মনে রেখোঝড় নয়বৃষ্টিতেই ফুল বেড়ে ওঠে 
11.জম্ম হয়েছে তোমার পাখা নিয়ে উড়ার ক্ষমতা তোমার আছে তারপরেও খোঁড়া হয়ে আছো কেন!
12.ভোরের মৃদু হাওয়া তোমাকে পরশ ভুলিয়ে কিছু বলে যায়শোনার চেষ্টা করো সে কি বলতে চায় তোমাকে দেখো আবার ঘুমিয়ে পড়োনা
13.যদি আলো থাকে তোমার হৃদয়ে তাহলে ঘরে ফেরার পথ তুমি অবশ্যই খুঁজে পাবে
14.তুমি এখনও জানোনাহ্যাএটা তোমার আলোইতোমার আলোই এই জগতকে আলোকিত করে
15.মোমবাতি হওয়া সহজ কোন কাজ নয় আলো দেওয়ার জন্য প্রথম নিজেকেই পুড়তে হয়
16.বৃক্ষের মতো হওআর মৃতপাতাগুলো ঝরে পড়তে দাও
17.মানব কায়া অচিন্ত্য আত্মার যন্ত্রস্বরুপ
18.“মৌনতায়” তোমার আত্মার স্বকীয় গোলাপকুঞ্জ” উন্মোচিত কর
19.যে মুহূর্তে তুমি তোমার উপর পতিত সকল বাধা বিপত্তিকে স্বীকার করে নিবেতখন থেকেই গুপ্তদ্বার তোমার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে!
20.কৃতজ্ঞতাকে আলখাল্লা রূপে পরিধান করআর সেটাই তোমার জীবনকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ করে তুলবে

Sunday, December 9, 2018

জালাল উদ্দিন রুমির উক্তি jalal uddin rumir ukti

  1. মোমবাতি হওয়া সহজ কাজ নয়। আলো দেওয়ার জন্য প্রথম নিজেকেই পুড়তে হয়।
  2. তোমার জন্ম হয়েছে পাখা নিয়ে, উড়ার ক্ষমতা তোমার আছে। তারপরও খোঁড়া হয়ে আছো কেন!
  3. তোমার হৃদয়ে যদি আলো থাকে, তাহলে ঘরে ফেরার পথ তুমি অবশ্যই খুঁজে পাবে।
  4. আমাদের চারপাশেই সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু এটা বুঝতে হলে বাগানে হাঁটতে হবে।
  5. প্রতিটি মানুষকে একটা নির্দিষ্ট কাজের জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং সেই কাজটি তার হৃদয়ে গ্রন্থিত আছে। প্রতিটি মানুষ ভেতর থেকে ঠিক সেই কাজটি করার জন্যই তাড়না অনুভব করে।
  6. যা কিছু হারিয়েছো তার জন্য দুঃখ করো না। তুমি তা আবার ফিরে পাবে, আরেকভাবে, আরেক রূপে।
  7. এটা তোমার আলোই, তোমার আলোই এই জগতকে আলোকিত করে।
  8. প্রদীপগুলো আলাদা, কিন্তু আলো একই।
  9. বৃক্ষের মতো হও, আর মরা পাতাগুলো ঝরে পড়তে দাও।
  10. ঘষা খেতে যদি ভয় পাও, তাহলে চকচক করবে কীভাবে?
  11. শব্দ দিয়ে প্রতিবাদ করো, কণ্ঠ উঁচু করে নয়। মনে রাখবে ফুল ফোটে যত্নে, বজ্রপাতে নয়।
  12. গতকাল আমি বুদ্ধিমান ছিলাম, তাই পৃথিবীটাকে বদলে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমি জ্ঞানী, তাই নিজেকে বদলে ফেলতে চাই।
  13. প্রদীপ হও, কিংবা জীবনতরী, অথবা সিঁড়ি। কারো ক্ষত পূরণে সাহায্য করো।
  14. শোক করো না। তুমি যাই হারাও না কেনো তা অন্য কোনো রূপে ফিরে আসবে।
  15. ১৫. তুমি সাগরে এক বিন্দু পানি নও। তুমি এক বিন্দু পানিতে গোটা এক সাগর।
  16. কেউ যখন কম্বলকে পেটাতে থাকে তখন সেটা কম্বলের বিরুদ্ধে নয়, ধুলোর বিরুদ্ধে।
  17. প্রেম আসলে কোথাও মিলিত হয় না। সারাজীবন এটা সবকিছুতে বিরাজ করে।
  18. অন্যের জীবনের গল্প শুনে সন্তুষ্ট হয়ো না, নিজের পথ তৈরি করো, নিজের জীবন সাজাও।
  19. সুন্দর ও উত্তম দিন তোমার কাছে আসবেনা, বরং তোমারই এমন দিনের দিকে অগ্রসর হওয়া উচিত।
  20. তুমি এ ব্রহ্মাণ্ডে গুপ্তধনের খোঁজ করছো, কিন্তু প্রকৃত গুপ্তধনতো তুমি নিজেই।
  21. স্রষ্টার কাছে পৌঁছানোর অজস্র পথ আছে। তার মাঝে আমি প্রেমকে বেছে নিলাম।
  22. যে কখনো বাড়ি ছাড়েনি, তার কাছ থেকে যাত্রার উপদেশ নিও না।
  23. আকাশ কেবল হৃদয় দিয়েই ছোঁয়া যায়।
  24. সিংহকে তখনই সুদর্শন দেখায় যখন সে খাবারের খোঁজে শিকারে বেরোয়।
  25. শুধু তৃষ্ণার্ত পানি খুঁজে না, পানিও তৃষ্ণার্তকে খোঁজে।
  26. নতুন কিছু তৈরি করো, নতুন কিছু বলো। তাহলে পৃথিবীটাও হবে নতুন।
  27. যে বাতাস গাছ উপড়ে ফেলে, সেই বাতাসেই ঘাসেরা দোলে। বড় হওয়ার দম্ভ কখনও করো না।
  28. সব কিছু জেনে ফেলাই জ্ঞান নয়, জ্ঞান হলো কী কী এড়িয়ে যেতে হবে বা বর্জন করতে হবে তা জানা।
  29. দুই ব্যক্তি কখনও সন্তুষ্ট নয়- বিশ্বকে যে ঘুরে দেখতে চায় আর যে আরও জ্ঞান আহরণ করতে চায়।
  30. যদি তুমি চাঁদের প্রত্যাশা কর, তবে রাত থেকে লুকিয়োনা। যদি তুমি একটি গোলাপ আশা কর, তবে তার কাঁটা থেকে পালিয়োনা, যদি তুমি প্রেমের প্রত্যাশা করো, তবে আপন সত্তা থেকে হারিওনা।


Saturday, December 8, 2018

চীনা দার্শনিকগণ

চীনা দার্শনিকগণ এঁদের মধ্যে কনফুসিয়াস-এর নাম উল্লেখযোগ্য | ইনি বলেছিলেন সমস্ত বিষয়ে প্রশ্ন করা উচিত |
তাহলে উপরের আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে দর্শন একটা এমন জিনিস যা মানুষকে বিচার করতে শেখায় | তা সে ভারতীয় ন্যায় দর্শনই হোক বা গ্রিক দর্শন হোক | দর্শনের বিষয় অনন্ত | পদ্ধতি একটাই | পৃথিবী জুড়ে এইরকম দর্শনই প্রাচীন যুগে প্রচলিত ছিল | দর্শন মানুষকে জগতের পদার্থগুলিকে পরীক্ষা করে হিতাহিত নির্ণয় করতে শেখায় | আর এইখানেই বিপদ |
যদি একটা লোক আজ রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজ-এর ব্যাপারে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করে আসল সত্যি জানতে চায় তাহলে শাসক শ্রেণী শোষণ করবে কি করে ? সমাজই বা অত্যাচার করবে কি করে ? অতএব দর্শনকে বাঁচতে দেয়া চলবে না | তাকে এখনি মারতে হবে | মধ্যযুগে পৃথিবী জুড়ে তাই দর্শনের মারণযজ্ঞ চলতে লাগলো |

জেরেমি বেন্থাম Jeremy Bentham biography

পরিচিতি
জেরেমি বেন্থাম (1748 - 1832) ছিলেন একজন ইংরেজ দার্শনিক, রাজনৈতিক মৌলবাদী এবং প্রাথমিক আধুনিক যুগের আইনী ও সামাজিক সংস্কারক।
তিনি সর্বাধিক ব্যবহারিকতাবাদের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে পরিচিত, যা তার অন্তর্নিহিত নৈতিক নীতি হিসাবে দেখেছিল যার উপর তাঁর আইনী ও সামাজিক সংস্কারগুলি ভিত্তিক হওয়া উচিত। যদিও তার জীবনের সময় তার প্রভাব সম্ভবত ছোট ছিল, তার প্রভাব পরবর্তী বছরগুলিতে আরও বেশি ছিল, কারণ তার ধারণাগুলি জন স্টুয়ার্ট মিল, রবার্ট ওওয়ে এবং জন অস্টিনের মত অনুসরণকারীদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।
জীবন
বেন্থামের জন্ম 15 ফেব্রুয়ারি 1748 সালে লন্ডনের স্পিটলফিল্ডস শহরে, যিনি ধনী টরি অ্যাটর্নির পুত্র ছিলেন। তিন বছর বয়সে লাতিনের গবেষণামূলক সূচনা করেছিলেন। তিনি ওয়েস্টমিনস্টার স্কুলে যান এবং 1760 সালে (1২ বছর বয়সে) তাঁর পিতা তাকে অক্সফোর্ডের কুইন্স কলেজে পাঠিয়েছিলেন, যেখানে তিনি 1763 সালে ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং 1766 সালে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি লিঙ্কনস ইন-এ আইনজীবী হিসেবে প্রশিক্ষণ লাভ করেন। লন্ডন, এবং 1769 সালে বারে ডাকা হয় (যদিও তিনি আসলে অনুশীলন করেননি)।
তিনি শীঘ্রই আইনের সাথে নিরুৎসাহিত হন, তবে 18 তম শতাব্দীর ব্রিটিশ ধর্মতত্ত্ববিদ এবং 1776 সালের "সরকারের উপর একটি খণ্ড" তার প্রথম প্রধান কাজ যখন 18 শতকের ইংল্যান্ডের স্যার উইলিয়ম ব্ল্যাকস্টোন (1773 - 1780) -এর নেতৃস্থানীয় আইনী তত্ত্ববিদের সমালোচনা করেছিলেন, তখন তিনি অনেক মনোযোগ অর্জন করেন এবং এই প্রকাশনার পরে তিনি বন্ধু হয়ে ওঠে শক্তিশালী লর্ড শেলবার্নের সাথে (1737-1805), যা তাকে ভ্রমণ করতে এবং লিখতে সময় নিতে দেয়। তার প্রাথমিক অনুগামীদের মধ্যে ছিলেন অর্থনীতিবিদ ডেভিড রিকার্ডো (1772-1823) এবং রবার্ট ওওয়ে (1771-1858), ওয়েলশ সামাজিক সংস্কারক এবং সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা ও সমবায় আন্দোলনের অন্যতম।
জেরেমি বেন্টহ্যাম 1823 সালের 6 জুন তাঁর নেটিভ লন্ডনে মারা যান এবং তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী অনুরোধ করেছিলেন, তার দেহকে wooden cabinet এ সংরক্ষণ  করে । সেখানেই সংরক্ষণ করা হয়েছিল, যাকে তিনি তার "অটো-আইকন" বলেছিলেন এবং যা এখনও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে প্রদর্শিত হয়।

পশ্চিমা দর্শনশাস্ত্র pocchima dorshon Western Philosophy

পশ্চিমা দর্শনশাস্ত্রটি পশ্চিমা ও আঞ্চলিক জগতের দার্শনিক চিন্তাধারাকে বোঝায়, (প্রাচীন গ্রীস এবং রোমের সাথে শুরু, কেন্দ্রীয় ও পশ্চিম ইউরোপের মধ্য দিয়ে এবং কলম্বাস, আমেরিকা থেকে শুরু হয়)
পূর্ব ও প্রাচ্য দর্শনের বিরোধিতা করে (ভারতীয়, চীনা, ফার্সি, জাপানি এবং কোরিয়ান দর্শন)
সাধারণভাবে, এই ওয়েবসাইটটি পশ্চিমা দর্শনশাস্ত্রের আলোচনার জন্য সীমাবদ্ধ, যদিও ইস্টার্ন দর্শনশাস্ত্র এবং আফ্রিকান দর্শনশাস্ত্রের সংক্ষিপ্ত সংক্ষিপ্তসার প্রদান করা হয়েছে।
শতাব্দী ধরে, পশ্চিমা দর্শনশাস্ত্র জোরালোভাবে প্রভাবিত হয়েছে এবং পশ্চিমা ধর্ম, বিজ্ঞান, গণিত ও রাজনীতির দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, প্রাচীনকালে, "দর্শনশাস্ত্র" শব্দটি সমস্ত বুদ্ধিজীবী প্রচেষ্টার অর্থ হিসাবে ব্যবহৃত হত এবং সতেরো শতকের শেষের দিকে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান (পদার্থবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান) এখনও "প্রাকৃতিক দর্শনের" শাখা হিসাবে পরিচিত ছিল।
এটি প্রভাবিত ধর্মগুলির শিক্ষা (ইহুদি দর্শন, খ্রিস্টান দর্শন, এবং ইসলামী দর্শনের) শিক্ষাকে প্রভাবিত করেছে এবং এর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে।
কিছু ভাষ্যকারের মতে, ব্যাপকভাবে বলতে গেলে, পশ্চিমা সমাজটি "সত্য" খুঁজে বের করতে এবং প্রমাণ করার চেষ্টা করে, পূর্ব সমাজ প্রদত্ত সত্য গ্রহণ করে এবং ভারসাম্য খুঁজে পেতে আগ্রহী হয়। পশ্চিমাদের পৃথক অধিকার আরো বৃদ্ধি করা; সামাজিক দায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করা।

দার্শনিক উক্তি

"অনির্ধারিত জীবন বসবাস যোগ্য  নয়" - সোক্রেটিস
"যে কেউ কথা বলতে পারে না, তার জন্যে একজনকে  নীরব থাকতে হবে" - লুডভিগ উইটজেনস্টাইন
"মানুষের জীবন (প্রকৃতির অবস্থায়) একাকী, দরিদ্র, কদর্য, নির্বোধ, এবং সংক্ষিপ্ত" - থমাস হবস
"আমি মনে করি তাই আমি আছি" ("Cogito, ergo sum") - René Descartes
"একমাত্র সত্যই গুরুতর দার্শনিক সমস্যা, এবং এটি আত্মহত্যা" - অ্যালবার্ট ক্যামাস
"একই নদীতে দুবার পদব্রজে ভ্রমণ করতে পারে না" - হেরাক্লিটাস
"সর্বশ্রেষ্ঠ সংখ্যা সর্বশ্রেষ্ঠ সুখ নৈতিকতা এবং আইন প্রতিষ্ঠা" - জেরেমি বেন্টহ্যাম
"অনুভূত হতে হবে" ("Esse est percipi") - বিশপ জর্জ বার্কলে
"সুখ একটি আদর্শ কিন্তু কল্পনা নয়" - ইম্মানুয়েল কান্ট
"মানুষের জ্ঞান তার অভিজ্ঞতা অতিক্রম করতে পারেন" - জন লক
যে কেউ দার্শনিক হয়ে উঠতে চায় তাকে অবশ্যই অযৌক্তিকতার ভয়ে ভীত হতে হবে "- বারট্রান্ড রাসেল
"অবসর দর্শনের মা" - থমাস Hobbes
"দর্শনশাস্ত্র আমাদের বুদ্ধিমত্তার বিরুদ্ধে ভাষার মাধ্যমের বিরুদ্ধে লড়াই" - লুডভিগ উইটজেনস্টাইন
"দার্শনিককে কেবলমাত্র এক জিনিস করতেই নির্ভর করা যেতে পারে, এবং এটি অন্য দার্শনিকদের বিরোধিতা করা" - উইলিয়াম জেমস

Monday, April 30, 2018

বাঁচার জন্য মরো ||মরে বাঁচো‌‍‌‌||bachar jonno moro||more bacho||Die to live

বাঁচার জন্য মরো বা মোরে মরে বাঁচো" এ উক্তিটির ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে তিনি মধ্য যুগীয় খৃষ্টান চিন্তাবিদদের কৃচ্ছতাবাদ এর কথা না বলে বরং একথা বলেন যে মানুষকে যদি মানুষের মতো বাঁচতে হয় তাহলে তাকে ইন্দ্রিয় প্রবৃত্তি মুলক জীবনের অবসানের মাধ্যমেই তা করতে হবে। মানুষের ইন্দ্রিয় প্রবৃত্তি মুলক জীবন নিম্নতর জীবন। মানুষের এই নিম্নতর জীবনে ক্ষুদ্রতা তুচ্ছতা ও স্বার্থপরতা জীবন মানুষের এই নিম্নতর জীবনী মানুষকে অপরাপর মানুষের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে এবং তার মধ্যে একটা আত্মকেন্দ্রিকতার ভাব জাগিয়ে তোলে। এই নিম্নতর জীবনের অবসান ঘটাতে না পারলে মানুষ আত্ম বিস্তৃতি লাভ করতে পারেনা এবং ফলে সে বৃহত্তর জীবনের স্বাদ গ্রহণ করতে পারে না। ইন্দ্রিয় প্রবৃত্তিমূলক বা নিম্নতর জীবন মানুষের প্রকৃত জীবন নয়। মানুষের প্রকৃত জীবন হচ্ছে তার বুদ্ধিময় জীবন, যে জীবনে ক্ষুদ্রতা তুচ্ছতা ও স্বার্থপরতার স্থান নেই। এই প্রকৃত জীবনই মানুষের অপরাপর মানুষের সঙ্গে একাত্ম বোধ এর কথা বলে। আত্মকেন্দ্রিক জীবনকে পরিহার করার মধ্য দিয়েই মানুষ মহৎ জীবন যাপন করতে পারে। "বাঁচার জন্য মরো" উক্তিটি ব্যাখ্যায় হেগেল আরও বলেন যে আত্মকেন্দ্রিক ও স্বার্থপর জীবনকে পরিহার করে মহৎ জীবনের অধিকারী হওয়া যায় । অর্থাৎ বিচারবুদ্ধির দ্বারা কামনা-বাসনা জাতীয় ইন্দ্র প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে পরিপূর্ণ ব্যক্তিত্বের বিকাশ সধন করার মধ্য দিয়েই মানুষ তার আত্মকেন্দ্রিকতা ও স্বার্থপরতাকে পরিহার করতে পারে এবং ফলে সে মহৎ জীবন যাপন করতে পারে।

Sunday, February 4, 2018

দর্শন কাকে বলে? dorshon kake bole? what is philosophy?

জীবন ও জগত সম্পর্কিত মৌলিক সমস্যাবলির যৌক্তিক অনুসন্ধান করাই হচ্ছে দর্শন |গ্রিক দার্শনিক  সক্রেটিস  ইনি বলেছিলেন : “The unexamined life is not worth living.” অর্থাৎ অপরীক্ষিত জীবন যাপন করার কোনো মূল্য নেই তিনি জগতের সমস্ত কিছুকে পরীক্ষা করেছিলেন সমস্ত কিছুকে অনুসন্ধান করেছিলেন |তার কাছে দর্শন হলো জীবনকে পরীক্ষা করা এই পরীক্ষা কিভাবে করেন তিনি প্রশ্ন আর উত্তরের দ্বারা |অর্থাৎ প্রশ্ন করা আর উত্তর খোঁজার মধ্য দিয়েই জীবনকে পরীক্ষা করা হলো দর্শন সক্রেটিসের মতে |
আমাদের কিভাবে বাস করা উচিত সেই সম্পর্কে শৃঙ্খলা প্রশ্নই দর্শন (নীতিশাস্ত্র)    এই জগতে কি ধরণের বস্তুগুলি বিদ্যমান এবং তাদের অপরিহার্য প্রকৃতি কী (অধিবিদ্যা)    প্রকৃত জ্ঞান কি (epistemology);এবং তর্কের সঠিক নীতিগুলি কি (logic) (Wikipedia);     প্রকৃতিকারণবা বাস্তবতাজ্ঞানবা মূল্যের নীতিরযৌক্তিক পদ্ধতির পরিবর্তে যৌক্তিক পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে অনুসন্ধান (American Heritage Dictionary);     অস্তিত্ববাস্তবতাজ্ঞান এবং ধার্মিকতার প্রকৃতির গবেষণায় মানুষের চূড়ান্ত যুক্তি দেখানো (পেঙ্গুইন ইংরাজী অভিধান);     অস্তিত্ব এবং জ্ঞান এবং নীতিশাস্ত্র  সম্পর্কে প্রশ্নগুলির যুক্তিসঙ্গত অনুসন্ধান (wordnet);     জ্ঞান এবং সত্য অনুসন্ধানবিশেষ করে মানুষের প্রকৃতি এবং তার আচরণ এবং বিশ্বাসের সম্পর্কে (Kernerman English Multilingual Dictionary);    মৌলিক নীতিসমূহের যুক্তিপূর্ণ ও সমালোচনামূলক অনুসন্ধান (Microsoft Encarta Encyclopedia)     বিশ্বের সবচেয়ে সাধারণ এবং বিমূর্ত বৈশিষ্ট্য এবং আমরা যা মনে করি সেগুলি নিয়ে গবেষণা যেমন মনব্যাপারকারণপ্রমাণসত্যইত্যাদি(Oxford Dictionary of Philosophy)     বিশ্বের মৌলিক প্রকৃতিমানব জ্ঞানের ভিত্তি এবং মানব আচরণের মূল্যায়ন সম্পর্কে সতর্কতা (The Philosophy Pages)

Sunday, January 28, 2018

জালাল উদ্দিন রুমির বানী। Jalal uddin rumir bani. Jalal ad-din Rumi's words

তুমি সাগরে এক বিন্দু পানি নও। তুমি এক বিন্দু পানিতে গোটা এক সাগর।আমাদের মধ্যে এক অদৃশ্য শক্তি লুকিয়ে আছে। এটা যখন দুটো বিপরীতমুখী বাসনার উপলব্ধি প্রকাশ করে তখন তা শক্তিশালী হতে থাকে।গতকাল আমি চতুর ছিলাম। তাই, আমি পৃথিবীটাকে বদলে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমি জ্ঞানী। তাই, নিজেকে বদলে ফেলতে চাই।শোক করো না। তুমি যাই হারাও না কেন তা অন্য কোনো রূপে ফিরে আসবে।প্রত্যেককে বানানো হয়েছে নির্দিষ্ট কাজের জন্য এবং প্রত্যেক হৃদয়ে সেই কাজটি করার আকাঙ্ক্ষাও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।কেউ যখন কম্বলকে পেটাতে থাকে তখন সেটা কম্বলের বিরুদ্ধে নয়, ধুলোর বিরুদ্ধে।আমাদের চারদিকে সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে।সাধারণত একে বুঝতে একটি বাগানে হাঁটার প্রয়োজন অনুভব করি আমরা।যখন নিজের মূল্য নির্ধারণের দিনটি আসবে তখন আপনার পরিচয় ফুটিয়ে তোলাটাই বিজ্ঞানের নির্যাস।শোক প্রকাশ হতে পারে সমবেদনার বাগান। যদি সবকিছুতে নিজের হৃদয়টাকে উদার রাখতে পারেন, বেদনা আপনার শ্রেষ্ঠ বন্ধু হতে পারে।আমার প্রথম প্রেমের গল্প শোনামাত্র তোমাকে খুঁজতে থাকি! কিন্তু জানি না ওটা কতটা অন্ধ ছিল। প্রেম আসলে কোথাও মিলিত হয় না। সারাজীবন এটা সবকিছুতে বিরাজ করে।

Wednesday, January 24, 2018

অ্যারিস্টট্ল এর মতে দর্শন। Aristotler mote dorshon. Aristotle's theory of philosophy.

অ্যারিস্টট্ল  এর মতে দর্শন হলো জ্ঞানসাধনা |দার্শনিক প্রথমে একটা দুর্বোধ্য হেয়ালির সম্মুখীন হবে |তারপর সেই হেয়ালির সমাধান করার চেষ্টা করবে দর্শন শাস্ত্রের মাধ্যমে |ওনার মেটাফিজিক্স বইতে এইরকমই সংজ্ঞা দেয়া আছে দর্শন তথা দার্শনিকের|দার্শনিক শুধু জ্ঞানের জন্য জ্ঞান চাইবে,অর্থের জন্য নয়|আর এই দার্শনিক খোঁজ কিভাবে হবে ?প্রথমে খোঁজার পথে যেসব বস্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেগুলিকে জানতে হবে | তাহলেই হেয়ালির সমাধান হয়ে যাবে | উনি মেটাফিজিক্সের বেটা বইতে এইরকম দার্শনিক হেয়ালির উদাহরণ ও সমাধান দুইই দেখিয়েছেন  |উনি দর্শনের কতগুলো সুত্র ওনার গামা বইতে দিয়েছেন | ল অফ আইডেন্টিটি ,ল অফ নন কনট্রাডিক্সন আর ল অফ এক্সক্লুডেড মিডল | প্রথমটি বলে একই বস্তুর ব্যাপারে অনেক ভাবে অনেক কথা বলা যায় |যেমন স্বাস্থ্য | কিভাবে সুস্থ থাকবেন, কেন সুস্থ থাকবেন ইত্যাদি ওই একই স্বাস্থ্যের ব্যাপারে বলা হয়েছে |দ্বিতীয়টি বলছে স্ববিরোধ থাকবে না. তৃতীয়টি বলছে হ্যা আর না-এর মাঝামাঝি কিছু থাকবে না | এইটি ফাজি লজিকের বিরুদ্ধে যায় |

Thursday, June 22, 2017

ষ্টীভ জবসের বাণী। stev jobser bani. stev jobs word.

তুমি কখনোই ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে এক সুতায় বাঁধতে পারবে না। এটা কেবল পেছনে তাকিয়েই সম্ভব। অতএব, তোমাকে বিশ্বাস করতেই হবে, বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো একসময় ভবিষ্যতে গিয়ে একটা অর্থবহ জিনিসে পরিণত হবেই। তোমার ভাগ্য, জীবন, কর্ম, কিছু না কিছু একটার ওপর তোমাকে বিশ্বাস রাখতেই হবে। এটা কখনোই আমাকে ব্যর্থ করেনি, বরং উল্টোটা করেছে।
কখনো কখনো জীবন তোমাকে ইটপাটকেল মারবে, কিন্তু বিশ্বাস হারিয়ো না। আমি নিশ্চিত, যে জিনিসটা আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল সেটা হচ্ছে, আমি যে কাজটি করছিলাম, সেটাকে আমি অনেক ভালোবাসতাম। তোমাকে অবশ্যই তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পেতে হবে, ঠিক যেভাবে তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষটিকে খুঁজে বের করো। তোমার জীবনের একটা বিরাট অংশজুড়ে থাকবে তোমার কাজ, তাই জীবন নিয়ে সত্যিকারের সন্তুষ্ট হওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে এমন কাজ করা, যে কাজ সম্পর্কে তোমার ধারণা, এটা একটা অসাধারণ কাজ । আর কোনো কাজ তখনই অসাধারণ মনে হবে, যখন তুমি তোমার কাজটিকে ভালোবাসবে । যদি এখনো তোমার ভালোবাসার কাজ খুঁজে না পাও, তাহলে খুঁজতে থাকো । অন্য কোথাও স্থায়ী হয়ে যেয়ো না। তোমার মনই তোমাকে বলে দেবে, যখন তুমি তোমার ভালোবাসার কাজটি খুঁজে পাবে। যেকোনো ভালো সম্পর্কের মতোই, তোমার কাজটি যতই তুমি করতে থাকবে, সময় যাবে, ততই ভালো লাগবে। সুতরাং খুঁজতে থাকো, যতক্ষণ না ভালোবাসার কাজটি পাচ্ছ। অন্য কোনোখানে নিজেকে স্থায়ী করে ফেলো না।

পৃথিবী ছেড়ে আমাকে একদিন চলে যেতে হবে, এ জিনিসটা মাথায় রাখার ব্যাপারটাই জীবনে আমাকে বড় বড় সব সিদ্ধান্ত নিতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে। কারণ, প্রায় সবকিছুই যেমন, সব অতি প্রত্যাশা, সব গর্ব, সব লাজলজ্জা আর ব্যর্থতার গ্লানি—মৃত্যুর মুখে হঠাত্ করে সব নেই হয়ে যায়, টিকে থাকে শুধু সেটাই, যা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ । তোমার কিছু হারানোর আছে—আমার জানা মতে, এ চিন্তা দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে, সব সময় মনে রাখা যে একদিন তুমি মরে যাবে । তুমি খোলা বইয়ের মতো উন্মুক্ত হয়েই আছ । তাহলে কেন তুমি সেই পথে যাবে না, যে পথে তোমার মন যেতে বলছে তোমাকে?
কেউই মরতে চায় না। এমনকি যারা স্বর্গে যেতে চায়, তারাও সেখানে যাওয়ার জন্য তাড়াতাড়ি মরতে চায় না । কিন্তু মৃত্যুই আমাদের গন্তব্য । এখনো পর্যন্ত কেউ এটা থেকে বাঁচতে পারেনি । এমনই তো হওয়ার কথা। কারণ, মৃত্যুই সম্ভবত জীবনের অন্যতম প্রধান আবিষ্কার। এটা জীবনের পরিবর্তনের এজেন্ট । মৃত্যু পুরোনোকে ঝেড়ে ফেলে ‘এসেছে নতুন শিশু’র জন্য জায়গা করে দেয়। এই মুহূর্তে তোমরা হচ্ছ নতুন, কিন্তু খুব বেশি দিন দূরে নয়, যেদিন তোমরা পুরোনো হয়ে যাবে এবং তোমাদের ঝেড়ে ফেলে দেওয়া হবে। আমার অতি নাটুকেপনার জন্য দুঃখিত, কিন্তু এটাই আসল সত্য।
তোমাদের সময় সীমিত। কাজেই কোনো মতবাদের ফাঁদে পড়ে, অর্থাত্ অন্য কারও চিন্তাভাবনার ফাঁদে পড়ে অন্য কারও জীবনযাপন করে নিজের সময় নষ্ট কোরো না। যাদের মতবাদে তুমি নিজের জীবন চালাতে চাচ্ছ, তারা কিন্তু অন্যের মতবাদে চলেনি, নিজের মতবাদেই চলেছে। তোমার নিজের ভেতরের কণ্ঠকে অন্যদের শেকলে শৃঙ্খলিত করো না। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, নিজের মন আর ইনটুইশনের মাধ্যমে নিজেকে চালানোর সাহস রাখবে। ওরা যেভাবেই হোক, এরই মধ্যে জেনে ফেলেছে, তুমি আসলে কী হতে চাও। এ ছাড়া আর যা বাকি থাকে, সবই খুব গৌণ ব্যাপার।
আমি যখন তরুণ ছিলাম, তখন দি হোল আর্থ ক্যাটালগ নামের অসাধারণ একটা পত্রিকা প্রকাশিত হতো; যেটা কিনা ছিল আমাদের প্রজন্মের বাইবেল ।পত্রিকাটির শেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়। বিদায়ী সেই সংখ্যার শেষ পাতায় ছিল একটা ভোরের ছবি। তার নিচে লেখা ছিল—ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো। এটা ছিল তাদের বিদায়কালের বার্তা। ক্ষুধার্ত থেকো, আমি তোমাদেরও এটা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।
ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো।

Thursday, June 1, 2017

সুলতান সুলেমানের বানী। Sultan suleimaner bani. sultan suleiman's word.

ঐশ্বর্যের চেয়ে দামী সম্পদ বুদ্ধিমত্তা। অার সব চেয়ে বড় দারিদ্র হচ্ছে মূর্খতা।নিরর্থক ভয় পাওয়া হচ্ছে সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। অার সবচেয়ে অধিক মূল্যবান বিষয় হ্রদয়বান হওয়া। বোকার সাথে বন্ধুত্ব করতে যাবে না। সে তোমার উপকার করার চাইতে ক্ষতি করবে বেশি।কৃপনের সাথেও কখনও বন্ধুত্ব করবে না। কারন সে তোমার বিপদের দিনে পাশে না থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিবে। সাবধান কোন পরনিন্দা কারিকেও নিজের বন্ধুত্ব বানিও না।কারন তার নিজের প্রয়োজনে তোমাকে ব্যবহার করবে। অার সেই সাথে মিথ্যাবাদির সাথেও কখনো বন্ধুত্ব গড়ে তুলবে না। কারন সে মরিচিকার মতন দূরের স্বপ্নে বিভোর করে কাছের জিনিষগুলোকে দূরে সরিয়ে নিবে।

Wednesday, May 3, 2017

দর্শনের (দর্শন) শাব্দিক অর্থ | Dorshoner shabdik ortho ki? what is philosophy meaning?

দর্শন সংস্কৃত শব্দ । দৃশ +অনট = দর্শন । দৃশ ধাতু ও অনট প্রত্যয় যোগে দর্শনের উৎপত্তি । দর্শন  অর্থ দেখা বা চাক্ষুষ প্রত্যক্ষন ।তবে সাধারণ দেখা নয়, নিরপেক্ষভাবে দেখা। সত্যের প্রত্যক্ষ উপলব্ধি বা তত্ত সাক্ষাৎকারই দর্শন ।দর্শন শব্দটির ইংরেজী প্রতিশব্দ Philosophy যা গ্রীক শব্দ Philos ও Sophia শব্দের একযোগে উদ্ভূত।Philos+Sophia= Philosophy।Philos অর্থ loving অর্থাৎ অনুরাগ বা প্রেম বা প্রীতি।  আর sophia শব্দের অর্থ knowledge বা love of wisdom অর্থাৎ জ্ঞান বা প্রজ্ঞা।বুৎপ্ততিগত অর্থে Philosophy অর্থ Love of Knowledge বা love of wisdom.  অর্থাৎ জ্ঞান প্রীতি বা প্রজ্ঞানুরাগ।

দর্শন ও ফিজিক্স | dorshon o physics| Philosophy and Physics

দর্শনের সাথে ফিজিক্সের পার্থক্য।দর্শনে ‘প্রয়োগ’ শব্দটার ব্যবহার কম,’দেখা’ ও ‘চিন্তা’ এ শব্দ ২ টির ব্যবহার বেশি উদাহরন-নিউটন দেখলেন কোনো পদার্থ কে আঘাত করলে প্রতি-আঘাত পাওয়া যাচ্ছে…এ দেখে তিনি চিন্তা করলেন সকল ক্রিয়ার ই একটি সমান প্রতিক্রিয়া আছে-এটা তার একটি চিন্তা বা দর্শন।কিন্তু এর পর F1=-F2 থেকে ভরবেগ পরিবর্তনের সুত্র প্রতিপাদন এ সব ই ফিজিক্সের মধ্যে যাচ্ছে।ফিজিক্স হচ্ছে ন্যাচারাল ফিলোসফি,অর্থাৎ অতি গাণিতিক ব্যাপার টি বাদ দিলেই ফিজিক্স হয়ে গেল দর্শন;দর্শন এখন ফিজিক্স এরই একটি অংশ।

***দর্শন হচ্ছে ফিজিক্সের বিশুদ্ধ কল্পনার ক্ষেত্র।***পদার্থবিদ মাত্রই দার্শনিক,তবে সব দার্শনিকই পদার্থবিদ নন।***যেহেতু চিন্তার স্বাধীনতা সকল বিষয়েই আছে তাই বিভিন্ন বিষয়ে দার্শনিক হওয়া যায়(এমনকি ভাষা,সাহিত্য ইত্যাদি) কিন্তু পদার্থবিদ তো শুধু পদার্থের জন্যই নিবেদিত প্রাণ(বাকি বিষয়ে নাই জ্ঞান o.O)
একটা জোকস এ পরেছিলাম- যেখানে এক ইউনিভার্সিটির ডিন তার ফিজিক্স ডিপার্টমেন্ট এর লেকচারার কে ডেকে বললেন-“তোমাদের এক্সপেরিমেন্ট গুলো এতো ব্যায়বহুল যে টাকা ঢালতে ঢালতে ফতুর হয়ে গেলাম।তোমরা কি ম্যাথ ডিপার্টমেন্ট এর মতো চলতে পারনা?যাদের শুধু কয়েকটা পেন্সিল আর কাগজ ফেলার ঝুরি হলেই কাজ চলে যায়।কিংবা ফিলসফি ডিপার্টমেন্ট এর মতো যাদের ঐ ঝুরি টুকু ও প্রয়োজন পরে না ।

জালাল উদ্দিন রুমির বানী। Jalal uddin rumir bani. Jalal ad-din Rumi's words

তুমি সাগরে এক বিন্দু পানি নও। তুমি এক বিন্দু পানিতে গোটা এক সাগর। আমাদের মধ্যে এক অদৃশ্য শক্তি লুকিয়ে আছে। এটা যখন দুটো বিপরীতমুখী বাসনার ...